প্রাণহীন শরীর যেমন একটি জড় বস্তু ঠিক তেমনি সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার অচল। সেজন্য কম্পিউটারকে পরিচালনা ও কাজের উপযোগী করে তোলার জন্য সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সকল সফটওয়্যার কম্পিউটার সব সময় ইনস্টল করা থাকে না ব্যবহারকারীকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার ইনস্টল করে নিতে হয়। কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন কাজ যেমন: ডকুমেন্ট তৈরি, হিসাব নিকাশ, উপস্থাপনা, কম্পিউটার গেমিং, ভিডিও দেখা ইত্যাদি করে থাকি।
সফটওয়্যারের সংজ্ঞা :
কম্পিউটার চালানোর সময় কম্পিউটার কে যে সমস্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয় সেইসব নির্দেশনার সমষ্টিকে সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম বলে l অথবা সফটওয়্যার হল কতগুলো প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রামের সমষ্টি যা হার্ডওয়ারকে কর্মক্ষম করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাঙ্খিত ফলাফল প্রদান করে l যেমন উইন্ডোজ একটি অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার এবং এমএস ওয়ার্ড একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার l সফটওয়্যার এর মূল কাজ হলো কম্পিউটারকে কার্যোপযোগী করা এবং এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা l
সফটওয়্যারের শ্রেণি বিভাগ:
সফটওয়্যারকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন-
১.সিস্টেম সফটওয়্যার
২.এপ্লিকেশন সফটওয়্যার
সিস্টেম সফটওয়্যার:-
সিস্টেম সফটওয়্যার হচ্ছে এমন ধরনের সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের হার্ডওয়ার গুলোকে ব্যবহারকারীর ব্যবহার উপযোগি করে তুলতে সাহায্য করে l এই সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ও ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সমর্থকে সতর্কভাবে নিয়োজিত রাখে l কম্পিউটারের কাজের প্রকৃতির উপযোগী করে সিস্টেম সফটওয়্যার তৈরি করা হয় l তাই বিভিন্ন প্রকারের কাজের জন্য সিস্টেম সফটওয়্যার বিভিন্ন রকমের হয় l যেমন অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার যা কম্পিউটার ও সফটওয়্যার এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য সাধারণ সেবা সরবরাহ করেI অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের ইনপুট নেয়,তা প্রসেস করে পূর্ণাঙ্গ আউটপুট প্রদান করে। l মেমরি বন্টন ও নিয়ন্ত্রণ, সিস্টেম অনুরোধগুলোর অগ্রাধিকার নির্ণয়, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ , কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ও ফাইল সিস্টেম ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি অপারেটিং সিস্টেমের কাজI
অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব:
অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করে I এটি কম্পিউটার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে I অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমেই ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ও এর মধ্যবর্তী ব্যবহারিক সফটওয়্যার সমূহ চালাতে সক্ষম হয়I কাজে অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটার একটি অচল যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয় তাই অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্ব অপরিসীম I
অপারেটিং সিস্টেমের ইনস্টলেশন :
ইন্সটল করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
১. ডিভিডি / সিডি ২.পেনড্রাইভ / রিমুভাবল ডিভাইস
ইন্সটল করার পদ্ধতি:
ধাপ-১:
প্রথমে সফটওয়্যার ইন্সটল ডিভিডি অথবা পেনড্রাইভটিকে কম্পিউটারের DVD-ROM অথবা U.S.B পোর্ট এ প্রবেশ করাতে হবে।
ধাপ-2: ডিভিডি অথবা পেনড্রাইভটিকে কম্পিউটারে প্রবেশ করানোর পর কম্পিউটার কে রিস্টার্ট দিতে হবে।
ধাপ-3 : রিস্টার্ট হওয়ার শুরুর মহর্তে ESP Press করে booting পেজে প্রবেশ করতে হবে ।
এখানে যদি আমরা DVD দিয়ে ইন্সটল করতে চাই তাহলে Notebook upgrade bay আর যদি পেনড্রাইভ দিয়ে ইন্সটল করতে চাই তাহলে USB Flash drive কে select করে দিতে হবে।
এরপর নিচে দেখানো window আসবে…
যেকোন একটি কি প্রেস করার পর……
এখান থেকে window set up select করে Enter দিতে হবে।
এরপর ভাষা select করে দিতে হবে….
Next ক্লিক করে এগিয়ে যেতে হবে…
ইন্সটল এ ক্লিক করার পর…..
এখান থেকে অপারেটিং সিস্টেম select করার পর..
এখান থেকে license term ok করার পর..
custom select করার পর পার্টিশন এর অপশন আসবে…
পার্টিশন তৈরির বর্ণনা:-
Format: ফরমেটে ক্লিক করলে Disk-C এর পূর্বের ব্যবহৃত বা জমাকৃত সকল ডাটা মুছে যাবে এবং পুরো মেমোরি স্পেস টি খালি দেখাবে I
Delete: এখানে ক্লিক করে select করার সাথে সাথে New এর menuটি ব্রাইট দেখাবে অর্থাৎ এই মেনুতে ক্লিক করে সেকেন্ডারি মেমোরি সমূহ যেমনঃ D’-drive, E’-drive এবং F- drive local disk গুলো তৈরি করার মাধ্যমে পার্টিশন করা যাবে ।
New:- এখানে ক্লিক করে select করার সাথে সাথে পার্টিশন এর জন্য একটি পেজ আসবে সেখানে প্রয়োজনমত মেমোরি স্পেস লেখে দিতে হবে যেমন: D-drive এর জন্য মেমোরী স্পেস 70000MB অর্থাৎ 70 GB I অতঃপর Ok বা Apply তে ক্লিক করে দিলে পার্টিশন হয়ে যাবে। উপরের মত Name এর ঘরে Disk এবং এর পাশে মেমোরীর পরিমাণ দেখাবে।
ব্যবহারকারীর নাম লেখার পর click Next……
পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর click Next……
টাইম সিলেক্ট করার পর click Next……
সিলেক্ট পাবলিক করতে হবে ।
personalize select করে ক্লিক…..
Select and Click to Apply……
Installation is Finish
এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা ব্যবহারকারীর প্রোগ্রাম:
কম্পিউটার ব্যবহারকারী যেকোন জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য নিজের মত করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম রচনা করতে পারেন. ব্যবসায়ী বা শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদেরনিজস্ব পদ্ধতিতে তথ্য ব্যবস্থাপনা ,হিসাব-নিকাশ সহ অন্যান্য কাজের জন্য অনেক সময় বিশেষভাবে সফটওয়্যার তৈরি করে নিয়ে থাকে.ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কিছু প্রোগ্রাম বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যায় এ ধরনের প্রোগ্রাম দিয়ে নির্দিষ্ট ধরনের কাজ করা যায় এ প্রোগ্রামে ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা ব্যবস্থা থাকে এসব প্রোগ্রামকে প্যাকেজ প্রোগ্রাম বলেI
এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ইনস্টলেশন :
প্রয়োজনীয় উপকরন: ১. DVD/CD 2. Pen-drive \ Removable Disk
ইন্সটল করার পদ্ধতি:
ধাপ-১: সফটওয়্যার ইনস্টলেশন করা DVD কে DVD-ROM বা Pen-drive কে USB port এর মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করাতে হবে।
ধাপ-2: তারপর This Pc থেকে মাউস এর Right button ক্লিক করে open এ ক্লিক করবে
ধাপ-3: DVD RW-drive এর উপর Double click করতে হবে। তাহলে…..
এর উপর Double click করতে হবে। তাহলে…..
এখান থেকে setup এ Click করারআগে serial tools এ click করতে হবে তাহলে Install code গুলো চিত্রের ন্যায় দেখা যাবে সেগুলো copy করে নিতে হবে অতঃপর setup এ click করতে হবে।
এখন setup এ click করে Install এর কাজ শুরু করতে হবে।
Run as administrator এর উপর ক্লিক করতে হবে।
এখন All Program list এ চেক করলে এইভাবে দেখা যাবে
এখন office word এর উপর ক্লিক করলে…
Installation is Finish