ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির সাথে পরিচিতি

ইলেকট্রন শব্দ হতে ইলেকট্রনিক্স শব্দটিউৎপত্তিহয়েছে । ইঞ্জিনিয়ারিং এর যে শাখায় কোন ভ্যাকুয়াম, গ্যাস বা সেমিকন্ডাকটরের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহ দ্বারা সৃষ্ট কারেন্ট চলাচল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, তাকে ইলেকট্রনিক্স বলে ।

ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্টস সমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় যথা:

১. এ্যাকটিভ কম্পোনেন্ট:

ডায়োড: একটি দুই টার্মিনাল ডিভাইস। একটি পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর এবং একটি এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরকে একত্রে যুক্ত করে যে যন্ত্রটি তৈরি হয় তাকে পি-এন জংশন ডায়োড বা ডায়োড বলে। একে রেকটিফায়ার ডায়োডও বলা হয়।

লাইট এ্যামিটিং ডায়োড: লাইট এমিটিং ডায়োডকে সংক্ষেপে LED বলা হয়। এটি এমন একটি ডায়োড যা হতে আলো নির্গত হয়। আর এই আলো তখনই নির্গত হয় যখন ডায়োডের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক কারেন্ট প্রবাহিত হয়। অর্ধপরিবাহী উপাদানের প্রকারের উপর নির্ভর করে এটি থেকে নির্গত আলোর রঙ লাল, হলুদ বা সবুজ হতে পারে।

জিনার ডায়োড : জিনার ডায়োড এক প্রকার বিশেষ ধরনের রিভার্স বায়াস বিশিষ্ট পি-এন জাংশন ডায়োড যা ব্রেক ডাউন রিজিয়নে কাজ করে। অর্থাৎ রিভার্স বায়াস বৃদ্ধির সাথে সাথে উচ্চ গতিসম্পন্ন মুক্ত ইলেকট্রন তৈরি হয় যা পরবর্তিতে ব্রেক ডাউন ঘটিয়ে জেনার ডায়োডকে এ্যাকটিভ করে তোলে

ফটো ডায়োড: ফটো ডায়োড হল এমন এক ধরনের ডায়োড যা আলোর উপস্থিতিতে কাজ করে। অর্থাৎ যখন ইহার PN জংশন এর উপর আলো পতিত হয় তখন ইহা কাজ করে এবং ইহার মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয়।

MOSFET ( Metal oxide semiconductor field effect transistor: মেটাল অক্সাইড সেমিকন্ডাক্টর ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর হল একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস। ইহার তিনটি টার্মিনাল রয়েছে যথা : গেইট(G), ড্রেন(D) এবং সোর্স(S) টার্মিনাল । একটি MOSFET এর মূল নীতি হল এটি ড্রেন এবং সোর্স টার্মিনালের মধ্যে ভোল্টেজ এবং কারেন্ট এর প্রবাহ কে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এটি সুইচের মতোও কাজ করে।

SCR বা থাইরিস্টর: থাইরিস্টর হলো এক প্রকার সেমিকন্ডাকটর ডিভাইস যা চারটি স্তরে বিভক্ত. এতে তিনটি টারমিনাল রয়েছে, টার্মিনালগুলোকে যথাক্রমে অ্যানোড, ক্যাথোড এবং গেইট বলে. ইহা এক প্রকার সুইচ এর মত কাজ করে. ইহার গেইটে পজিটিভ বা লেগেটিভ যে কোন সাপ্লাই দিলে ইহার অ্যানোড থেকে ক্যাথোড এর দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয়.

আইসি বা ইনট্রিগ্রেটেড সার্কিট: একটি IC একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য উপযুক্ত একটি ইলেকট্রনিক সার্কিট। অর্থাৎ, যখন একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রানজিস্টর, ডায়োড, প্রতিরোধক, ক্যাপাসিটর ইত্যাদির মতো সংখ্যক উপাদানকে আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে একটি ছোট সেমিকন্ডাক্টর চিপে ঢোকানো হয়, তখন এই চিপটিকে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা আইসি বলা হয়।

২. প্যাসিভ কম্পোনেন্ট:

ক্যাপাসিটর: একটি নন-পরিবাহী পদার্থ দিয়ে দুটি ধাতব পাতকে আলাদা করে এবং বাতাস বা অন্য কিছু অ-পরিবাহী পদার্থ দিয়ে ফাঁকা স্থান পূরণ করে তৈরি করা ডিভাইসটিকে ক্যাপাসিটর বলে।

ইন্ডাকটর: যে ডিভাইস একটি লাইনের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করে তাকে ইন্ডাকটর বলে। কয়েলের যে বিশেষ ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে ইহার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট এর পরিবর্তন বাধাগ্রস্ত হয় তাকে ইন্ডাকট্যান্স বলে।

ইন্ডাকটর:

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Scroll to Top