লোড হলো এমন একটি মেশিন বা ডিভাইস যা বৈদ্যুতিক শক্তিকে গ্রহন করে। অন্যভাবে বলা যায়,যে সকল মেশিন বা ডিভাইসগুলি বৈদ্যুতিক শক্তিকে গ্রহন করে এবং উক্ত শক্তিকে বিভিন্ন শক্তিতে(আলো,তাপ,শব্দ,গতি ইত্যাদি) রুপান্তর করে তাকে ইলেকট্রিক্যাল বা বৈদ্যুতিক লোড বলে। যেমন: আমরা ঘর-বাড়িতে বৈদ্যুতিক বাতির সাহায্যে আলো পাই, এইক্ষেত্রে বিদ্যুৎ আলোক শক্তিতে রুপান্তর হচ্ছে। একইসাথে বৈদ্যুতিক মটর বিদ্যুৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তরিত করছে।
ইলেকট্রিক্যাল লোডের শ্রেণীবিভাগ:-
পাওয়ার ফ্যাক্টর:- সাধারনত পাওয়ার ফ্যাক্টর বলতে CosØ কে বুঝানো হয়ে থাকে, যার মান হলো- .৮ থেকে .৯ এর মধ্যে।
রেজিস্টিভ লোড: রেজিস্টিভ লোড বলতে বৈদ্যুতিক বাতি, বৈদ্যুতিক আয়রন, সোল্ডারিং আয়রন এবং বৈদ্যুতিক হিটার ইত্যাদি, এইগুলি সব কিছু হলো রেজিস্টিভ লোডের উদাহরন। এরা সকলে বিদ্যুৎ শক্তিকে তাপ ও আলোক শক্তিতে রুপান্তর রছে। রেজিস্টিভ লোডগুলোর পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান ১ বা ইউনিটি।
পাওয়ার ,P= VICosØ
পাওয়ার, P= VI [CosØ=1]
ক্যাপাসিটিভ লোড: ক্যাপাসিটিভ লোড বলতে নন-পোলারাইজড (১.৫ থেকে ৩.৫মাইক্রো ফ্যারাডের) ক্যাপাসিটরসমূহকে বুঝানো হয়। ক্যাপাসিটর ব্যবহৃত সার্কিটগুলোতে কারেন্ট ভোল্টেজ এর থেকে ৯০০ অগ্রগামী থাকে।। ক্যাপাসিটর লোডগুলোর পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান .৮ বা .৯ হয়ে থাকে।
পাওয়ার, P= VI cosØ
পাওয়ার, P= VI X.9 [ cosØ=.9]
ইন্ডাকটিভ লোড: ইন্ডাকটিভ লোড বলতে বিভিন্ন গেজের তামার তার দিয়ে পেচিয়ে যে সকল লোড বা মেশিন গুলো তৈরি করা হয় তাদেরকে ইন্ডাকটিভ লোড বলে। ইন্ডাকটর লোড ব্যবহৃত সার্কিটগুলোতে ভোল্টেজ কারেন্ট এর থেকে ৯০০ অগ্রগামী থাকে।। ইন্ডাকটিভ লোডগুলোর পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান .৮ বা .৯ ল্যাগিং হয়ে থাকে।
পাওয়ার, P= VI cosØ
পাওয়ার, P= VI X.৪ [ cosØ=.8]
পাওয়ার সিস্টেম লোড:- ঘর-বাড়িতে ব্যবহৃত লোড, ইন্ডাসট্রিয়্যাল লোড, কমারসিয়্যাল লোড এবং এগ্রিকালচারাল লোড সমুহ নিয়ে হলো পাওয়ার সিস্টেম লোড।
পাওয়ার সিস্টেম লোডের শ্রেনীবিভাগ: নিম্নে শ্রেণীবিভাগ ছক আকারে দেখানো হলো:-
ঘর-বাড়িতে ব্যবহৃত লোডসমূহকে বলা হয় ডোমেস্টিক লোড, শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত লোডসমূহকে বলা হয় ইন্ডাসট্রিয়্যাল লোড, ব্যাণিজ্যিক ভিওিতে ব্যবহৃত লোডসমূহকে বলা হয় কমারসিয়্যাল লোড এবং কৃষি কাজে ব্যবহৃত লোডসমূহকে বলা এগ্রিকালচারাল লোড।