হেলথ, সেফটি অ্যান্ড ইথিকস ফর আইসিটি

স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও আইসিটি নীতি হলো বিশেষ ধরনের এমন কিছু বিধি বিধান যা কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুকি কমাতে এবং মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যাবশ্যক।ওএসএইচ মানদন্ডের লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদান করা। এই বিষয়সমুহ মৃত্যুর মতো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সকলকেই মেনে চলতে হয়।একই সাথে এইসব কিছুর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়ন। কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নৈতিক বিষয় সমূহ, ঝুকি সনাক্ত, জরুরী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন এবং আইসিটি কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করে।

হ্যাজার্ড একটি ইংরেজী শব্দ. যার বাংলা অর্থ বিপত্তি বা বিপদ. কর্মক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি যেমন: ভৌত, রাসায়নিক, জৈবিক, আর্গনোনিক ও মনোসামাজিক অবস্থায় কারনে কারখানা মানব সম্পদ এবং বিভিন্ন ধরনের বস্তু বা উপাদানের যে ক্ষতি হতে পারে তাকে কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড বলে। কিছু কিছু ঝুঁকি আছে যা মানুষকে তাৎক্ষনিকভাবে আহত করে ফেলতে পারে আবার কিছু কিছু ঝুঁকি ধীরে ধীরে কর্মীদের অসুস্থ করে তুলতে পারে।

১. ভৌত বা শারিরিক ঝুঁকি: কর্মক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের বস্তু বা উপাদানের কারনে যে বিপদের সৃষ্টি হয় তাই ভৌত বিপদ বা ফিজিক্যাল হ্যাজার্ড. বিভিন্ন ধরনের পড়ে থাকা বস্তু বা উপাদান থেকে এই ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়.যেমন- যন্ত্রপাতি, মেশিন অত্যধিক তাপ বা ঠান্ডা, আর্দ্রতা ইত্যাদি থেকে ভৌত ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।

২. রাসায়নিক ঝুঁকি: বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যেমন: এসিড, ক্ষার, ডাইস, পেইন্ট, দ্রাবক গ্যাস বাষ্প, ওয়েল্ডিং ধোঁয়া, হাইড্রোজেন, ক্লোরিন, সীসা ইত্যাদি থেকে যে বিপদের সৃষ্টি হয় তাকে রাসায়নিক ঝুঁকি বলে. কাচামাল সমূহ উপাদিত পন্য, বিক্রিয়াকারি পদার্থ কখনো কখনো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে ।

৩. জৈবিক ঝুঁকি: ক্ষুদ্র অনুজীব এবং তাদের বিপাকীয় ক্রিয়ার কারনে যে বিপদ হয় তাদের জৈবিক ঝুঁকি বলে।ব্যাকটেরিয় এবংপরজীবী কীট যেগুলি ধূলা, পানিতে ভেসে ভেড়ায়, তাদের কারনে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা হয়। এটি এক ধরনের জৈবিক ঝুঁকি।

৪. আর্গনোমিক ঝুঁকি: পুনরাবৃত্তিমূলক গতিবিধি, ওয়ার্কস্টেশনের অনুপযুক্ত সেটআপ ইত্যাদি অবস্থার কারনে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে আর্গনোমিক ঝুঁকি বলে।

৫. মনোসামাজিক ঝুঁকি: কর্মক্ষেত্রে কাজ সম্পর্কিত অথবা কাজের অবস্থানগত বিষয় যা কর্মীদের মানসিক চাপ বৃদ্বি করে, এই ধরনের হ্যাজার্ডকে মনোসামাজিক ঝুঁকি বলে। এর ফলে মনোসামাজিক বিপদ সৃষ্টি হয়।যেমন-মানসিক বিষাদ, অস্বস্তি, কাজের প্রতি একঘেয়েমি ভাব ইত্যাদি।

পেশাগত ঝুঁকি: যেকোন, চাকুরীতে সম্ভাব্য অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকে . অর্থাৎ নিজ নিজ পেশায়, অফিস বা কারখানায় কাজ করতে গিয়ে অনাকাংখিত ভাবে কোন দূর্ঘটনার ফলে জীবন, সম্পদ এবং কর্ম পরিবেশের যে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাকে পেশাগত ঝুঁকি বলে ।

১. বিপদ সনাক্তকরন
২.বিপদের তালিকা তৈরি
৩.বিপদের শ্রেণী নির্ধারন করা
৪.বিপদের সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা
৫.বিপদ দূরীকরন

নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই:

দুর্ঘটনার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে সকল সাবধানতা মেনে চলা হয়, তাকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বলে। শিল্প-কারখানায় কর্মীগন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকেন। পিপিই মানে হলো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম।

১.চক্ষু সুরক্ষাকারি
২.কানের প্লাগ
৩.মাস্ক
৪.হাত মোজা
৫.সেফটি সু
৬.অ্যাপ্রোন
৭.হেলমেট

মেধাস্বত্ব বা কপিরাইট বলতে আক্ষরিক অর্থে কোন মৌলিক সৃষ্টির অনুলিপি তৈরির অধিকার বুঝায।
প্লেজারিজম বলতে আমরা বুঝি অন্যের অনুমতি ছাড়া তার তৈরিকৃত কোন কিছু নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া। অন্যভাবে বলা যায় অন্যের কর্মগুলোকে তাদের অনুমতি না নিয়ে নিজের ডকুমেন্ট বলে চালিয়ে দেওয়াকে প্লেজারিজম বলে।

১. কী-বোর্ডে কাজ করার সময় বডি পজিশন সঠিক রাখতে হবে। পিঠের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাচার জন্য একটি ব্যাকসাইড সাপোর্টেড চেয়ার ব্যবহার করতে হবে, এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন মেরুদন্ড সোজা থাকে ।

২. খেয়াল রাখতে হবে যেন পায়ের পাতা মেঝেতে সমান্তরাল থাকে।

৩. ঘাড় বাকানো বা ঘোরানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ৪. ঘাড় সোজা রাখতে হবে। কোম বা পিছনে সাপোর্ট থাকবে, বসার স্থান আরামদায়ক হতে হবে।

৪. ঘাড় সোজা রাখতে হবে। কোম বা পিছনে সাপোর্ট থাকবে, বসার স্থান আরামদায়ক হতে হবে।

৫. হাটু থেকে টেবিলের মধ্যে একটি ফাঁক থাকবে এবং পা মাটিতে বা ফ্লোরে লেগে থাকবে ।

৬. মাউস এবং কীবোর্ড টেবিলের মাঝা মাঝি থাকবে, যাতে কনুই ও হাত টেবিলের উপর সাপোটে থাকে।

৭. কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে বিরতি নিতে হবে ।

৮. কম্পিউটারের মনিটর ও চোখের দূরত্বের অসামঞ্জস্যের জন্য মাথাব্যাথা, চোখ ব্যাথা, চোখে ঝাপসা দেখা, পানি পড়া ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হতে পারে । এজন্য মনিটর চোখের সমান্তরালে রাখতে হবে।

বর্তমান সময়ে কপি – রাইটের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী কপিরাইট একজন লেখক, শিল্পী, তথা সৃষ্টিকারী কে নানাবিধ সুবিধা ভোগ করার অধিকার দেয়। যেমন-

১. লেখক নির্বিঘ্নে নতুন জ্ঞানের সন্ধানা করেন। তার লেখা আইন দ্বারা সুরক্ষিত হওয়ার কারনে তিনি আরোও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য পরিশ্রম করেন ।

2. লেখক, শিল্পীগণ তাদের কাজের জন্য সম্মানি পান, যা তাদের কাজে প্রেরণা যোগায়।

৩. লেখক, শিল্পীগোষ্ঠী তাদের সৃষ্টি কর্মের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন।

৪. কপি রাইট আইন লেখক, শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা করে।

৫. সৃজনশীল কাজের বিকাশ ঘটে ।

৬. আন্তর্জাতিক কপিরাইট আইনের কারনে এক দেশের শিল্পকর্ম আরেক দেশে নিরাপত্তা পায়।

১. ঘন ঘন মেসেজ ও মেইল চেক করা

২. মাঝেমাঝেই ফেসবুক স্ট্যাটাস পরিবর্তন করা

৩. যখন তখন সেলফি আপলোড করা

৪. ইন্টারনেটে থাকতে উৎপল্ল বোধ করা

৫. সামাজিকতা থেকে দূরে সরে যাওয়া

৬. ইন্টারনেট কানেকশন না থাকলে ছটফটানি লাগা

৭. ইন্টারনেটে কানেকটেড থাকলে সময় জ্ঞান না থাকা।

১.ইথিকস কি?

২. নিরাপত্তা বলতে কি বুঝায়?

৩. PPE এর পূর্ণ নাম লেখ?

৪. কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড সমূহের নাম লেখ?

১. পেশাগত ঝুঁকি বলতে কী বুঝায়?

2. মেধাস্বত্ব কি?

৩. প্লেজারিজম বলতে কী বুঝায়?

৪. কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড বলতে কী বুঝায়।

১. কপিরাইট এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর?

২. কম্পিউটার ব্যবহারের সময় বিবেচ্য বিষয়সমুহ কি কি?

৩. ইন্টারনেট আসক্তির উপসর্গসমূহ বর্ণনা কর?

৪. কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিগুলোর উদাহরনসহ বর্ণনা দাও?

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Scroll to Top